শেখ সেলিম: দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি ভাবিয়ে তুলেছে নিম্ন আয়েরসহ সকল পেশার মানুষকে। সামনে পবিত্র রমজান মাস। পবিত্র এ মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমান সম্প্রদায়ের সকল বয়সী মানুষ রোজা রাখে। যার যেমন সামর্থ্য তানিয়েই রোজা করার মান যে ইসলাম ধর্মের আচার অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করে থাকেন।
তবে, ইতোপূর্বে বছরগুলোতে রোজার মাস আসার পূর্ব হতেই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা, ছোলার ভাল বেশম এবং খেজুরসহ খাদ্যপণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে যায়।
বলা যায়, কালোবাজারী ব্যবসায়ী সমাজ মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যপণ্য বিক্রিতে সরব থাকেন। গত ৩ বছরে কোভিড মহামারীতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের আয় কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। তাঁর উপর বর্তমান বাজারের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিযোগীতা কোন পর্যন্ত নিয়ে যাবে তা কেউ বলতে পারছে না।
সংবাদ বিশ্লেষনে দেখা গেছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে বাজারে বেঁচা বিক্রি কমেছে, যা ব্যবসায়ীরা অকপটে স্বীকার করছেন। এই অস্বাভাবিক সকল খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি দেশকে কোন স্থানে নিয়ে যাবে, সেটি ভাবছে সকল শ্রেণীর মানুষ। বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে বলা হয়েছে, এদেশের মানুষ ভালো নেই। বিরোধী শিবিরের কট্টর পন্থীরা বলে বেড়াচ্ছেন দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে।
সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা অবশ্য দাবী করছেন খাদ্যপণ্যের মূল্য যেমন বেড়েছে তেমনি মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও অনেক বেড়েছে। পাল্টাপাল্টি বক্তব্য অবশ্য রাজনৈতিক। কিন্তু দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদগণ মনে করেন দ্রব্যমূল্যের এই উর্ধ্বগতি থামানো সরকারের দায়িত্ব।
বিষয়টি সার্বিক বিবেচনায় রেখে ইতোমধ্য ‘এফ বি সি সি আই’ এর সম্মানিত চেয়ারম্যান ভোজ্য তেলসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্যের ভ্যাট প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন সরকারের নিকট।
ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাস্তবতার নীরিখে যেহেতু এই আহ্বান রেখেছেন সে ক্ষেত্রে সরকারের বিষয়টি ভাবা উচিৎ। পবিত্র রমজানের পূর্বে শ্রমজীবি তথা দরিদ্র মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্য সকল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও খাদ্যপণ্য নিয়ে আসা এখন এ জাতীর প্রত্যাশা।
আশা করা যায়, বর্তমান সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে জন আকাংখার প্রতি সুদৃষ্টি দেবেন।
লেখক: শেখ সেলিম (সাংবাদিক ও কলামিষ্ট) চুয়াডাঙ্গা।
আপনার মতামত লিখুন :