জেষ্ঠ প্রতিবেদক : বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে যুদ্ধের ময়দানে যে ভাষণ মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ছিলো, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সেই ভাষণ যুগ যুগ ধরে প্রেরণা হয়ে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২১ বছর ৭ মার্চের ভাষণ বাজাতে বাধা দেওয়ার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যতই বাধা দেওয়া হয়েছে, ততই এই ভাষণ আরও উদ্ভাসিত হয়েছে।
সোমবার ঐতিহাসিক (৭ মার্চ) উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
আজ সোমবার (৭ মার্চ) ‘ ৭ মার্চ ২০২২’ উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত এদেশে এই ভাষণ প্রচার নিষিদ্ধ ছিল, যেমনটা করেছিল পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠী- তারাও সেদিন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ ভাষণ প্রচার করতে দেয়নি। কিন্তু সত্য সর্বদাই অনিরুদ্ধ। তাই নিপীড়িত-নির্যাতিত বাঙালিদের মুক্তির এ মহামন্ত্র শুধু বাংলাদেশেই নয়-বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হচ্ছে, অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আর কেউ কোনোদিন ইতিহাস মুছে ফেলতে পারবে না, এই ভাষণ বিশ্বে চিরন্তন হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর এই আদর্শ, এই স্বাধীনতা আর কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না, আজকের প্রজন্ম বিশ্বের কাছে উন্মুক্ত, তাদের আর বিভ্রান্ত করা যাবে না, হয়ত ২১ বছর করেছিল এখন আর পারবে না, প্রযুক্তির যুগে আর অন্ধকারে তাদের নেওয়া সম্ভব না।
এর আগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সকাল ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানোর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর খুলে দেওয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :