ওসমান সরদার, জাবি প্রতিনিধি: বিএনপির ডাকা তৃতীয় দফার অবরোধের সমর্থনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদল।
বুধবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিএন্ডবি এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ফটকে গিয়ে শেষ হয়। এসময় নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানান। এর আগে এক দফা দাবি আদায়ে সকাল সাড়ে আটটায় সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। পাশাপাশি দেশব্যাপী চলমান গণগ্রেফতার বন্ধ ও রাজবন্দিদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান সোহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল বিপ্লব। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বর্তমান নেতৃবৃন্দের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান শুভ, শহীদ রফিক জব্বার হলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মার্জুক, সেলিম রেজা, মীর মশাররফ হোসেন হলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসাইন, জুবায়ের আল মাহমুদ, নাইমুল হাছান কৌশিক, রেজাউল আমিন, সাহানুর রহমান, রাজু হাসান রাজন, এম আর মুরাদ, নিশাত আব্দুল্লাহ, জিল্লু, মেহেদী, মাসুম, মুজাহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ছাত্রদল নেতা নাইমুল হাছান কৌশিক বলেন, ‘দেশনায়ক তারেক রহমানের আহ্বানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের অবরোধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল রাজপথে সদা জাগ্রত আছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। প্রয়োজনে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য রাজপথে রক্ত দিব। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেই আমরা ঘরে ফিরে যাব।’
শহীদ রফিক জব্বার হলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মার্জুক বলেন, ‘দেশ রক্ষা ও জনগনের অধিকার আদায়ের শেষ আশ্রয়স্থল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান দ্বিতীয় মুক্তিযোদ্ধের যে ডাক দিয়েছেন সারা বাংলাদেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সে ডাকে সাড়া দিয়ে অবরোধ কর্মসূচী সফল করছে। আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এই স্বৈররানী শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমাদের যত আঘাত করবে আন্দোলনের তীব্রতা তত বৃদ্ধি পাবে।’
এসময় ছাত্রদলের বিভিন্ন বর্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।