খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: গবেষণায় বিশেষ অবদান রাখায় ভাইস চ্যান্সেলর পুরস্কার প্রদান করা হয় খুবির (খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়) ৫ জন শিক্ষককে।
আজ ২৫ মে (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৩টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৫ স্কুলের ৫ জন শিক্ষককে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড-২০২২ প্রদান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষককে তিনি ৫০ হাজার টাকার একটি চেক, একটি সনদপত্র ও একটি মেডেল প্রদান করেন।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দ হলেন- বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলভুক্ত পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. আক্তারুল ইসলাম, জীববিজ্ঞান স্কুলভুক্ত ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলভুক্ত সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মো. তানভীর হুসাইন, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলভুক্ত ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী এবং কলা ও মানবিক স্কুলভুক্ত ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদ আলম।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, গবেষণার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের আরও বেশি মনোনিবেশ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কাজ শিক্ষাদান ও জ্ঞান সৃজন করা। গবেষণার মাধ্যমে জ্ঞান সৃজন হয়। শিক্ষকরা আজ যে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন, এটি তাদের গবেষণা কাজের মূল্যায়ন। মূল্যায়ন মানুষকে কাজের প্রতি উৎসাহিত করে। শুধুমাত্র অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তরা নন, তাদের দেখে অন্যরাও উৎসাহিত হন। তিনি বলেন, অ্যাওয়ার্ড পাওয়া যেমন প্রশান্তির, তেমনি চ্যালেঞ্জেরও। এই অ্যাওয়ার্ডের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা, গবেষণা ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে শিক্ষা-গবেষণার ক্ষেত্রে একটি অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছে। যার ফলে এবছর ইউজিসি থেকে গবেষণাখাতে সাড়ে ৫ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এই অর্থের যথাযথ ব্যবহারের জন্য গবেষণার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের আরও বেশি মনোনিবেশ করতে হবে। নতুন নতুন আইডিয়া খুঁজে বের করে গবেষণা করতে হবে। শিক্ষার্থীদেরও গবেষণার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মো. তানভীর হোসেন, ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুল আলম। এসময় অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. আক্তারুল ইসলাম শিক্ষা ছুটিতে থাকায় তাঁর পক্ষে বক্তব্য রাখেন ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদার। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।