গাউসিয়া-রাজধানী সুপার মার্কেটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত অচিরেই: ডিজি

0

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিউমার্কেট এলাকার গাউসিয়া, রাজধানী সুপার মার্কেটসহ অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটের বিষয়ে অচিরেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বুধবার (০৫ এপ্রিল) আগুনে পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার ঘুরে দেখার পর বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

তিনি বলেন, বঙ্গবাজারের পোড়া মালামাল সরিয়ে নিলে আগুনের উৎস চিহ্নিত করে শেষ করা যাবে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম।

ডিজি আরও বলেন, বিএনবিসি কোড অনুযায়ী একটি মার্কেট বা স্থাপনা অথবা বিল্ডিংয়ে যত মানুষ থাকেন সেই অনুপাতে বাহির ও প্রবেশ পথের সঙ্গে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা থাকার কথা। আমার কাছে আপাতদৃষ্টি মনে হচ্ছে, এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য আমরা আগামীকাল (০৬ এপ্রিল) থেকে সার্ভে করব এবং মালিকপক্ষকে নিয়ে আমরা বসব, কী করতে হবে সে বিষয়ে আলোচনা হবে। যদি ঝুঁকিপূর্ণ হয় আমরা একই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এদিকে বঙ্গবাজার ট্র্যাজেডির ৩২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও আগুন লাগার সঠিক কারণ উদঘাটন করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। সংস্থাটি বলছে, মালামাল ঠাসা মার্কেটটির ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিলে আগুনের উৎস চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।

আগুনের লেলিহান শিখায় ভস্মীভূত বঙ্গবাজার এলাকা। গুমট এক পোড়া গন্ধে একাকার চারদিক। কোথাও কোথাও এখনও জ্বলছে চাপা আগুনের শিখা, বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী। চারদিকে যখন নিঃস্ব দোকানিদের আহাজারি আর্তনাদ চলছে। তখনও ধ্বংসস্তূপ ঘিরে দেখা যায় দমকল বাহিনীর তৎপরতা।

এদিন আগুনের ঘটনায় এদিন ক্ষতিপূরণ দাবি করে মানববন্ধন করেছে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী মালিক সমিতি।

মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তারা। পরে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজারের বেশি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.