ওসমান সরদার, প্রতিনিধি জাবি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান ও একতরফা ঘোষণা করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা। এসময় সমাবেশে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে (ডেইরি গেট) এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে নির্দলীয় তদারকি সরকার, একতরফা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে হরতালের সমর্থন জানানো হয়।
সমবেশে ছাত্রফ্রন্টের সবেক সাধারণ সম্পাদক কণোজ কান্তি রায়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা এই সরকারের একতরফা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা ও বিগত বছরগুলোতে ভোট কারচুপির ঘটনা তুলে ধরেন।
সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার আহবায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, ‘ আজকে আমরা যে দাবি নিয়ে এখানে এসেছি তা গণমানুষের দাবি। আপনারা জানেন এই সরকার একতরফাভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের মতামত ছাড়াই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে। এই সরকার রাষ্ট্রকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিনত করেছে। পুলিশ আমাদের সমাবেশে বাধা দিয়েছে। ঠিক পাশেই ছাত্রলীগের পেটুয়াবাহিনীরা পাহাড়া দিচ্ছে, তারা যে কোনো সময়ই হামলা করতে পারে। আমরা দেখেছি এই সরকারের অধীনে পূর্বের কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। দেশের ইতিহাসে কোনো স্বৈরাচারী শাসক টিকে থাকতে পারেনি, তাই এই ফ্যাসিস্টরাও জনগণের আন্দোলনের সামনে টিকতে পারবে না। ‘
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সদস্য আহমেদ জীবন বলেন, ‘ আমরা জানি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়। তাই এই সরকারের একতরফা নির্বাচনী তফসিল প্রত্যাখ্যান করছি। ভোটের অধিকার জনগণের ন্যূনতম অধিকার। আমরা আজ দাড়িয়েছি এই ভোটের অধিকারের জন্য। বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যে উর্ধগতি তা কমাতে হবে। জনগণের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে। পুলিশি বাহিনী দিয়ে এ আন্দোলন দমিত করা যাবে না।’
ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘ গতকাল যে তফসিল ঘোষণা করেছে, তা আওয়ামিলীগ বাদে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল গ্রহণ করেনি। এই সরকার শ্রমিকদের গুলি করে হত্যা করেছে। তাছাড়া প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতে তারা সন্ত্রাসী পেটুয়াবাহিনী দিয়ে গনতন্ত্রের পরিবেশ নষ্ট করেছে, যার ফলে কোনো শিক্ষার্থী গনতন্ত্রের পক্ষে দাড়াতে পারছে না। এই সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, প্রত্যেকটি নির্বাচনে কারচুপির ঘটনা ঘটেছে। একটা নির্বাচনওও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি।’