ওসমান সরদার, জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির প্রথম বর্ষের ইউনিটভুক্ত সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদভুক্ত ‘বি’, কলা ও মানবিকী অনুষদ ও বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটভুক্ত ‘সি’ এবং বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভু্ক্ত ‘ই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যায় বি ইউনিটে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ফলাফলে বৈষম্য রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ জুন) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
প্রত্যেক ইউনিটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক আসনের বিপরীতে মোট আসন সংখ্যার দশগুন শিক্ষার্থীর মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা যায়, ‘বি’ ইউনিটে ৩৮৬টি আসনের বিপরীতে ৪১ হাজার ৪৭৮ টি আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৩১ হাজার ৭২৮ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পাশের হার ৩০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। অপরদিকে ‘সি’ ইউনিটে ৩৮৮টি আসনের বিপরীতে ৪১ হাজার ৪৫৫ টি আবেদন জমা পড়েছিল। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৩২ হাজার ৫১০ জন। পাশের হার ৫৭ শতাংশ। এছাড়া ‘ই’ ইউনিটে (বিজনেস স্টাডিজ) ২০০টি আসনের বিপরীতে ১৮ হাজার ৯৭ টি আবেদন জমা পড়েছে। পাশের হার ৪০ শতাংশ।
এদিকে প্রতিবছরই ভর্তি পরীক্ষায় শিফট পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এবার বৈষম্য কমাতে ছাত্র ও ছাত্রীদের আলাদা শিফটে পরীক্ষা নেয় প্রশাসন। তবে ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায় এবারও শিফট পদ্ধতি চরমে। এবার ‘বি’ ইউনিটে ছাত্র ও ছাত্রীদের পৃথক দুইটি করে শিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রদের প্রথম শিফট থেকে ৫৭ জন ও দ্বিতীয় শিফট থেকে ১৩৬ জন ভর্তিচ্ছু মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। অপরদিকে ছাত্রীদের প্রথম শিফট থেকে মাত্র ২২ জন ও দ্বিতীয় শিফট থেকে ১৭১ জন ভর্তিচ্ছু মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে।
সমাবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, ‘শিফট পদ্ধতিতে একটি বৈষম্য তৈরি হয়। তবে সব শিফটে প্রশ্ন একই ক্যাটাগরিতে অনেকগুলো সেটে হয়। আমরা শিফট পদ্ধতি থেকে বের হতে চেয়েছি। কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিলে অনেক শিক্ষক এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।’
এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।