নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘রহস্যময়’ ইনজুরি পিছু হটছে না দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের। কখনও কোমরে বা পিঠে, আবার কখনও হাতের পুরো কবজিতেই ফিরছে পুরোনো চোট। বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রতিটি সিরিজের আগে এই ওপেনারের ইনজুরি দেশের গণমাধ্যমে নিয়মিত সংবাদ।
ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের আগেও একই ধাঁচের সংবাদ দেশের গণমাধ্যমে। এতে অনেক টাইগার ক্রীড়াপ্রেমী এ-ও দাবি করছেন, দেশসেরা এ ওপেনার ইচ্ছে করেই এমন ইনজুরির কথা বলছেন। আর গুঞ্জন রয়েছে, ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষেই টেস্ট ফরম্যাটকে বিদায় বলবেন তামিম।
আফগানদের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের দুইদিনও বাকি নেই। এবারও তামিমের খেলা নিয়ে শঙ্কা! তবে হাল ছাড়তে নারাজ টিম ম্যানেজমেন্ট। শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে আগ্রহী তারা।
আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজ শেষেই বিশ্রামে ছিলেন বাঁহাতি এ ওপেনার। কয়েক দিন বিশ্রামের পর মিরপুরে ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলনে নেমেছিলেন তিনি। অনুশীলনের একপর্যায়ে মেহেদী হাসান মিরাজের খাটো লেন্থের বল পুল করতে গিয়ে কাতরে ওঠেন এ ওপেনার। শেষ পর্যন্ত অস্বস্তি নিয়েই অনুশীলন স্থল ছাড়েন তিনি।
তামিমের অবস্থা নিয়ে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরীর দাবি করেছিলেন, পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, তাকে ফিজিও-কোচরা দেখছেন।
মিরপুরে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তামিমের ইনজুরি নিয়ে টাইগারদের ভারপ্রাপ্ত টেস্ট অধিনায়ক লিটনের ভাষ্য, তার (তামিম) বিষয়টা হলো, এটা সম্পূর্ণ মেডিকেল টিম দেখবে। অবশ্যই তামিম যদি ফিট থাকে, নো-ডাউট সে ম্যাচ খেলবে। এটা ডিপেন্ড করছে, সে ফিট কি না; এ নিয়ে মেডিকেল টিম সিদ্ধান্ত নিবে।
লিটন আরও যোগ করেন, দেখেন, রশিদ থাকলেও যেভাবে সিরিয়াসভাবে নিতাম। এখনও সেইভাবে নিয়ে আমরা আগাবো। টেস্ট ক্রিকেটে আমরাও অনেক গ্যাপে আছে। আমার মনে হয় যে, আমরা একদিক থেকে ভালো যে অনেকদিন ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছি। ম্যাচুউরিটি লেভেলটা ভালো।
সাকিবের না থাকায় দেশসেরা স্টাইলিশ এ ওপেনারের দাবি, সাকিব থাকা মানে দুইদিক থেকে ব্যালেন্স। কিছু ওভার বোলিং পারেন, ব্যাটিংও পারেন। স্বাভাবিকভাবে সাকিব যখন না খেলেন, বিশেষ করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিটা বেশি কঠিন হয়ে যায় বাংলাদেশ দলের জন্য। কিন্তু টেস্টে আমাদের এখন পর্যাপ্ত পরিমাণে বোলার আছে, বোলিং নিয়ে ওতটাও ঘাটতি না-ও হতে পারে।