স্পোর্টস ডেস্ক: দেড় মাসের ছুটির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল এখন অবস্থান করছেন লন্ডনে। সেখানেই তার পিঠের চিকিৎসা চলছে। গেল বৃহস্পতিবার পিঠের নিচের অংশের ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য ইনজেকশনের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন তামিম। সেদিন পর্যবেক্ষণে থাকার এক দিন পর গতকাল শুক্রবার তিনি আবারো ছুটেছেন দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য।
কোমরের এই চোটে লম্বা সময় ধরেই ভুগছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল। চোটের চিকিৎসার জন্য এখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি। লন্ডনে এই মুহুর্তে তার পাশে অবস্থান করছেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী।
পিঠের নিচের অংশের হাড়ের ক্ষয় হতে থাকা ডিস্কের কারণে যে ব্যথা, সেটি কমাতেই বাংলাদেশ সময় গতকাল শুক্রবার রাতে তামিম দ্বিতীয় ইনজেকশন নেন। দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বিসিবির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।
জানা গেছে, শুক্রবার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া তামিম দেশে এসে পৌঁছাবেন সোমবার। দেশে ফিরে এক সপ্তাহ বিশ্রামের পর হালকা ও ধীরগতিতে অনুশীলন শুরু করবেন তিনি। তামিমের লন্ডনের চিকিৎসক এমন পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিসিবির সূত্র, ‘এরপর পুরোদমে অনুশীলন শুরুর পর নিশ্চিত হওয়া যাবে যে এই ইনজেকশন কতটা কার্যকর হয়েছে।’
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় বিসিবি চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি তামিমের ইনজুরি নিয়ে বলছেন, ‘চলমান ব্যাকপেইনের কারণে তামিম একজন মেরুদণ্ড বিশেষজ্ঞের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তার অধীনেই গতকাল থেকে ব্যথা কমানোর প্রক্রিয়া মেনে চলছেন টাইগার ওপেনার। এখানেই তিনি আগামী দুদিনের পর্যবেক্ষণে থাকবেন।’
উল্লেখ্য, কোমরের এই চোটের জন্য তামিমের হাতে দুটি বিকল্প ছিল। ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যাথামুক্ত হয়ে অন্তত তিনমাস ক্রিকেট চালিয়ে যেতে পারবেন তিনি। অন্য বিকল্প হিসেবে, দরকার ছিল অস্ত্রোপচারের। সেক্ষেত্রে এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে অনিশ্চিত হয়ে পড়তেন এই টাইগার অধিনায়ক। তামিম অবশ্য ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যাথামুক্ত থাকার ব্যবস্থাই গ্রহণ করছেন।