সিনেটের আগে ডিন ও সিন্ডিকেট নির্বাচন চান জাবির বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা

0

ওসমান সরদার, জাবি প্রতিনিধি: দীর্ঘ ৮ বছর পর আগামী ১৬ অক্টোবর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সিনেট শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে৷

গত ২২ সেপ্টম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে সিনেট নির্বাচনের কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ এই পর্ষদে নির্বাচনের আগে ডিন ও সিন্ডিকেট নির্বাচন চান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।

গতকাল বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সাথে সাক্ষাৎ করে এসব কথা জানান সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট, শিক্ষা পর্ষদ, ডিন ও অর্থ কমিটিসহ গণতান্ত্রিক পর্ষদগুলো অনেক আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। আমরা বারবার এসব পর্ষদে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে উপাচার্যের সাক্ষাৎ ও স্মারকলিপি দেওয়ায় সর্বশেষ আগামী ১৬ অক্টোবর সিনেট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে৷ তবে আমরা চাচ্ছি যে পর্ষদটি আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে সেটিতে আগে নির্বাচন হোক৷ বর্তমানে সিনেট নির্বাচনের প্রয়োজন নেই, সিনেট নির্বাচন প্রধানত প্রয়োজন হয় উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের সময়৷ তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে যে নির্বাচন গুলো আগে প্রয়োজন সেগুলো আগে দেওয়ার দাবি জানিয়েছি৷

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বার্থে একাডেমিক গতিশীলতা আনায়নের জন্য ডীন এবং সিন্ডিকেট নির্বাচন আগে প্রয়োজন৷ বর্তমানে দীর্ঘদিন যাবত সিন্ডিকেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নেই, এছাড়া ডীনরা প্রায় সবাই ভারপ্রাপ্ত। সেক্ষেত্রে একাডেমিক কাজকে তরান্বিত করার জন্য একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দরকার৷ সে জায়গা থেকে ডিন ও সিন্ডিকেট নির্বাচন আগে দেওয়া প্রয়োজন৷ পরবর্তীতে একাডেমিক কাউন্সিল,সিনেটসহ বাকি নির্বাচন গুলো আয়োজন করা উচিত।

এ বিষয়ে বিএনপিপন্থী শিক্ষক কামরুল আহসান বলেন, গুরুত্বের দিক থেকে হোক বা মেয়াদোত্তীর্ণের তালিকার দিক থেকে হোক উভয় বিবেচনায় এ নির্বাচনের এখন প্রয়োজন নেই। উপাচার্য বলেছেন তিনি মনে করেছেন সিনেট নির্বাচন দেয়া প্রয়োজন তাই তিনি দিয়েছেন। আমরা বলেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কোনটা জরুরি সেইটা আগে দিতে। এর জন্য তিনি এক দিন সময় নিয়েছেন।

নির্বাচন ছাড়াও উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতে বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা ছাত্র সংগঠন কতৃর্ক শিক্ষক নিয়োগে হস্তক্ষেপের নিন্দা এবং তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের শিক্ষকের নামে যে অডিও ফাঁস হয়েছে সে অডিও এর বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া ও তার বিরুদ্ধে আগে যে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এসেছে সে বিষয়ে খুব দ্রুত যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তাঁরা৷ ইমিরেটাস অধ্যাপকের নিয়োগের বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন সাপেক্ষে এটি অধ্যাদেশ করার দাবী জানান। উপাচার্য এটি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান৷

আপনার মন্তব্য

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.