এবার ইউপি সদস্যকে মারধর করলো জাবি ছাত্রলীগের দুই নেতা

ওসমান সরদার, জাবি প্রতিনিধি: ব্যবসায়ীকে মারধরের রেশ না কাটতেই এবার সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে। শনিবার (৬ মে) রাত সাড়ে দশটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাঙ্গামাটি এলাকার পানির ট্যাংকি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন নাহিদ শাখা ছাত্রলীগের সহ—সভাপতি ও মেহেদী হাসান জয় সাংগঠনিক সম্পাদক। নাহিদ নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শহীদ রফিক জব্বার হলের আবাসিক ছাত্র। মেহেদী হাসান জয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক ছাত্র। তারা উভয়ই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী।

ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন রানা পাথালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও থানা বিএনপির প্রচার সম্পাদক। তিনি বলেন, আমি মশারি কিনতে শনিবার রাতে ইসলামনগর বাজারে গিয়েছিলাম। রাত ১০টার দিকে ইসলামনগর থেকে ফেরার পথে বিশ^বিদ্যালয়ের রাঙ্গামাটি এলাকার পানির ট্যাংকের কাছাকাছি পৌঁছালে সাব্বির ও জয় আরো ৭—৮ জনকে নিয়ে আমার পথ আটকায়। এ সময় তারা আমাকে বলে, ‘এই দাঁড়া। তুই এত রাতে এখানে কি করিস? কোথায় গিয়েছিলি?’ পরে তারা আমাকে মারধর করে এবং বলে তোকে যেন আর দল করতে না দেখি।

তবে মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান জয় বলেন, রানা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘদিন থেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নাশকতার পরিকল্পনা করে আসছেন। এজন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের জায়গা থেকে আমরা তাকে নিষেধ করেছি। যাতে তিনি এমনটা না করেন। আমরা তাকে মারধর করিনি। আরেক অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন নাহিদের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, এর আগে অভিযুক্ত নাহিদ ও জয়ের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইসলামনগর এলাকার এক ব্যবসায়ী ও দোকানের কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।