জাবিতে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে “মেসোপোটেমিয়া” সভ্যতার প্রদর্শনী

0

ওসমান সরদার, প্রতিনিধি জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে চলছে, “মেসোপটেমিয়া; যেখান থেকে সভ্যতার শুরু” শীর্ষক ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের নিচতলায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৫০ তম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা অনুশীলন পরীক্ষার অংশ হিসেবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে শুরু হওয়া এ আয়োজন চলবে আগামী ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।

আয়োজক ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি জাকিয়া হোসাইন জানান, “আমাদের দ্বিতীয় পর্বের কোর্স প্রাচীন বিশ্বসভ্যতা (দক্ষিণ এশিয়া ব্যতীত)” এর অনুশীলনী পরীক্ষার অংশ হিসেবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, “এই প্রদর্শনীতে মূলত তারা বর্তমান ইরাকে অবস্থিত টাইগ্রিস-ইউফ্রেতিস নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল, এবং এই অঞ্চলে বিকশিত প্রাচীন সুমেরীয়, ব্যাবিলনীয়, এসিরীয় এবং ক্যালডীয় সভ্যতা, যা সামগ্রিকভাবে মেসোপটেমীয় সভ্যতা নামে পরিচিত তার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে মেসোপটেমিয় অঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন নগর ও শাসক, এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বিকশিত বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নকে উপস্থাপন করা হয়েছে।”

এছাড়া এই প্রদর্শনীতে বিখ্যাত বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্যের অণুকৃতি ধর্মমন্দির জিগুরাত, প্রেমের দেবী ইশতার এর উদ্দেশ্যে নির্মিত ইশতার তোরণ, ব্যাবিলনের নগর পরিকল্পনা, ঊর থেকে প্রাপ্ত বুনো ভেড়ার প্রতিকৃতি, এবং এসেরীয় সভ্যতার বিভিন্ন চিত্রকলার প্রতিকৃতিও প্রদর্শন করা হয়েছে। এই প্রদর্শনীর বিশেষ আকর্ষণ ব্যাবিলনের অন্যতম শাসক হাম্বুরাবি এবং ক্যালডীয় রাজকন্যা এন নিগালদি নান্নার চরিত্রাভিনয়। প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, মেসোপটেমীয় অঞ্চলেই প্রথম লিখন পদ্ধতি “কিউনিফর্ম” সহ প্রথম চন্দ্রপঞ্জিকা, চাকা চালিত যানবাহন, প্রথম লিখিত আইন; “হামবুরাবির আইন সংহিতা”, প্রাচীনতম সাহিত্য; “গিলগামেসের মহাকাব্য”, সাম্রাজ্যবাদী ধারণা, জ্যোতিষ শাস্ত্রের ধারণা, প্রাচীনতম লাইব্রেরেরিসহ শাসন ও জ্ঞানচর্চার বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.