জাবিতে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের মানববন্ধন

0

ওসমান সরদার, জাবি প্রতিনিধি: নির্দলীয়নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে এবং অবরোধের সমর্থনে মানববন্ধন করেছে জাতীয়তবাদী শিক্ষক ফোরাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ( ডেইরি গেট) এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে ‘সাধারণ জনগণ এ সরকার চায় না’ উল্লেখ্য বক্তব্য রাখেন বিএনপি পন্থী শিক্ষকরা। এসময় সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক ও নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘বিবেকের তাড়নায় আজ আমরা মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। আজ সারাদেশে সরকারের মতের বিরুদ্ধের মানুষদেরকে নির্যাতন করা হচ্ছে। এই সরকার জনগণের সমর্থন থেকে অনেক দূরে রয়েছে।’ ২৮ অক্টোবর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের এই নির্যাতন ও ধরপাকড়ের জন্য পরবর্তী তরুণ প্রজন্ম হুমকির মুখে রয়েছে সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার্থে । সাধারণ মানুষের দৈনিন্দন জীবন ব্যাহত হচ্ছে সরকারের হঠকারিতার জন্য। তাই অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সহ সকল কারাবন্দীদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’

দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের সমাবেশে পুলিশি হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদস্বরুপ আমরা দাড়িয়েছি। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবির জন্যই ২৮ অক্টোবর হামলা চালানো হয়েছে হমালা চালানো হয়েছে। তাই এটা এখন জনগণের আন্দোলন হয়ে দাঁড়িয়েছে । বর্তমানে সরকার দলের সাথে সম্পৃক্ত না হলেই তাদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে সরকারবিরোধী কোনো শিক্ষার্থী অবস্থান করতে পারেন না। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে তাদের হলের বাইরে থাকতে হয়। তাই সকলের সমর্থনে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাই। এজন্য প্রয়োজন জনগনের ভোটে নির্বাচিত সরকার। বাঙালি জাতি সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে। তাই আমরাওও জনগণের পক্ষে আজ মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি।’

সমাপনী বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘ ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ সরকার সুপরিকল্পিতভাবে পুলিশি বাহিনী দিয়ে পন্ড করেছে। বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। অথচ মুলত আওয়ামী লীগই সন্ত্রাসী দল।’ তিনি আরও বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের ঘটনা পুনরায় করতে দেওয়া হবে না। আমাদের এ আন্দোলনকে জনগণ সমর্থন করবে। তাই বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম সহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।’

এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ড. মোঃ শামছুল আলম, অধ্যাপক ড. মোঃ সোহেল রানা, অধ্যাপক ড. মোঃ মনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক মোহাম্মাদ মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুর রব, অধ্যাপক ড. মোহম্মাদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক ড. এ. এন. এম. ফখরুদ্দিন, অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম মোস্তফা, অধ্যাপক ড. আবেদা সুলতানা, অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল ইসলাম, অধ্যাপক মাসুম শাহরিয়ার, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল হালিম, অধ্যাপক মোঃ জামাল উদ্দীন, অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম, অধ্যাপক ড. মোঃ কামরুজ্জামান, অধ্যাপক চৌধুরী গোলাম কিবরিয়া, অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক কামরুন নেছা খন্দকার, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল রকিব।

আপনার মন্তব্য

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.