বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে মারে, এটা খুনিদের দল : প্রধানমন্ত্রী

0

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়া খুনি, খালেদা জিয়া খুনি, তারেক রহমান খুনি। বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে মারে। এটা খুনিদের দল।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠের নির্বাচনী জনসভাস্থলে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ট্রেনে কোলে শিশুসহ মাকে পুড়িয়ে মেরেছে বিএনপি। সেই ঘটনা সারা বিশ্বের বিবেককে নাড়া দিয়েছে, কিন্তু তাদের (বিএনপি) নাড়া দেয়নি।এই বিএনপি সন্ত্রাসীর দল। আর জামায়াত ‍যুদ্ধাপরাধীর দল। এদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।

তিনি বলেন, জিয়া সব রাষ্ট্রীয় অর্থ সম্পদ দিয়ে কিছু লোককে ধনিক শ্রেণিতে তৈরি করে তাদের মাধ্যমে জনগণের ভোট চুরি করে। পরে সংবিধান লঙ্ঘন করে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির মতো দুইটা গুরুত্বপূর্ণ পদ বেআইনিভাবে দখল করে প্রহসের নির্বাচন করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়। পরে রাজনৈতিক কিছু উচ্ছিষ্ট থেকে তৈরি হয় বিএনপি নামের সংগঠন।

এ সময় নৌকায় ভোট চেয়ে তিনি বলেন, নৌকা দেশের উন্নয়নের একমাত্র হাতিয়ার। আমরা দিনবদলের সনদ দিয়েছিলাম। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সকল দিকে আজ বাংলাদেশ উন্নয়ন করেছে। বদলে যাওয়া বাংলাদেশ, আমাদের লক্ষ্য ২০৪১। এই ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাটি উর্বরতার কারণে আমরা নিজেদেরটা নিজেরা উৎপাদন করতে পারি। আমাদের মানুষ আছে, তাই কারও কাছে হাত পাততে হয় না। আর যেসব জিনিস আমাদের নেই তা আনতেই হবে। অন্য যা যা প্রয়োজন আমরা নিজেরাই করতে পারি। এরফলে কোনো জমি অনাবাদি থাকবে না। যার যতটুকু জমি আছে, আপনাকে উৎপাদন করতেই হবে। আমি নিজে যে বলছি তা নয়, আমি নিজে করে বলছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, গণভবন এখন আর শুধু প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন নয়, এটি এখন একটা ফার্ম হাউজ হয়ে গেছে। সেখানে আমরা সবই উৎপাদন করি। শুধু তাই নয়, আমার দাদার জমি যা আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি; সেখানে অনেক জমি পতিত ছিল, সব জায়গা চাষের আওতায় নিয়ে এসেছি। পাশাপাশি এলাকার মানুষের সমস্ত জমি যেহেতু চাষবাস হয় আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি।

এর আগে, মাদারীপুর জেলার কালকিনি জনসভাস্থলে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসে পৌঁছালে জনসভাস্থল স্লোগানে মুখর করে তোলেন নেতাকর্মীরা। স্লোগান আর আনন্দধ্বনিতে ভরে ওঠে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠ।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখতে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের মাঠে মানুষের ঢল নামে। সকাল ১০টা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিলে পুরো মাঠজুড়ে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। এ জন্য ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আপনার মন্তব্য

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.