খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন খুলনা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (কুআ) নির্বাচন আগামী শুক্রবার (০৯ জুন) অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে ২রা জুন (শুক্রবার) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইকেল মধুসূদন দত্ত অতিথি ভবনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম বেনজীর (পাংশা পলাশ) এর পরিচিত সভা ও ইশতেহার উপস্থাপন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেনারেল সেক্রেটারি পদপ্রার্থী গোলাম বেনজীর (পাংশা পলাশ) ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ‘৯৪ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টে (সিআইডি) পুলিশ সুপার পদে কর্মরত আছেন।
আসন্ন এ নির্বাচনে খুলনা ইউনিভার্সিটি গ্রাজুয়েটস সমর্থিত খুরশিদ-আক্তার প্যানেল এবং ‘আমরা খুবিয়ান’ প্যানেল ছাড়াও বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জেনারেল সেক্রেটারি পদপ্রার্থী গোলাম বেনজীর তার বক্তব্য তুলে ধরেন এবং পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। পরে তিনি নির্বাচনী ইশতেহার উপস্থাপন করেন এবং তার উপরে বিস্তারিত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রায় দুই শতাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করতে গিয়ে তিনি বলেন
তিনি নির্বাচিত হলে-
১.কুআ’র প্রক্রিয়াধীন নিবন্ধন কার্যক্রম দ্রুত সুসম্পন্ন করা।
২.কুআ’র ফান্ড বৃদ্ধিকরণের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহন করা।
৩. কুআ’র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যকার বন্ধন মজবুত করার মাধ্যমে অ্যালামনাই ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট থাকা।
৪.খুবিতে কুআ’র বর্তমান অফিসের পাশাপাশি ঢাকাতে একটি স্থায়ী/অস্থায়ী অফিস তৈরীর বিষয়ে কাজ করা।
৫. কুআ’র সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং প্রয়োজনমতে অন্যান্য দেশে কুআ চ্যাপ্টার চালু করা।
৬. অ্যালামনাই ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন করা এবং বিভিন্ন জনহিতৈষী কর্মকাণ্ডে কুআ’কে সম্পৃক্ত করা।
৭. খুবি গ্রাজুয়েটদের সরকারি চাকুরী প্রাপ্তিতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদানসহ সাধ্যমত সহযোগীতা করা।
৮.বেসরকারি কর্পোরেট হাউজের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে গ্রাজুয়েটদের বেসরকারি খাতে চাকুরীর সুযোগ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করা।
৯. উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা ও ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং সেল গঠন করা এবং সময়ে সময়ে জব ফেয়ারের আয়োজন করা।
১০. চাকুরীর পরীক্ষাসহ অন্যান্য কাজে গ্রাজুয়েটরা ঢাকা গেলে তাদের রাত্রীযাপনের সুবিধার্থে কুআ অফিসের সাথে রেস্ট হাউজ চালু করা।
১১. অতি দ্রুত অডিট ফার্ম নিয়োগ করে কুআ’র বর্তমান আর্থিক অবস্থা সদস্যদের নজরে আনা। এছাড়া প্রতি বছর অডিট ফার্ম নিয়োগ করে আয় ব্যয়ের সকল হিসাব/অডিট রিপোর্ট সদস্যদের সম্মুখে প্রকাশ করা।
১২. স্বাস্থ্য সেবা/ট্যুরিজম সেবা / ডিপার্টমেন্টাল স্টোরসহ ইত্যাদি সেবারের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে কুমার সদস্যদের ডিসকাউন্ট প্রাপ্তির বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা।
১৩. দেশী/বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সাথে সম্পর্ক স্থলনের মাধ্যমে কুআ’র সার্বিক উন্নয়ন সাধন
১৪. কুআ নারী সেল গঠনসহ নারী বান্ধব কুআ গঠনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
১৫. কুআ’তে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র ব্যাচ এবং নারী অ্যালামনাইদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকল্পে এক্সিকিউটিভ কমিটিতে কিছু আসন সংরক্ষিত রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা।
১৬. বিভিন্ন তথ্য জানতে ও অভিযোগ সংক্রান্তে কুআ ওয়েবসাইটে কার্যকরী তথ্য বাতায়ন চালু করা।
১৭. ‘কুআ দিবস’ ঘোষণার মাধ্যমে প্রতি বছর তা পালন করা এবং বার্ষিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপন করা।
১৮. বিভিন্ন ক্ষেত্রে অধিক সফলতা কৃতিত্বের জন্য অ্যালামনাই এবং শিক্ষার্থীদের জন্য এওয়ার্ড প্রচলন করা।
১৯. সরকারি/বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত অ্যালামনাইদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে প্রয়োজন মোতাবেক অনুজদের সহযোগিতা প্রদানের ধারা চালু করা।
২০. কুআ ওয়েবসাইট আধুনিকীকরণসহ কুত্তা অ্যাপস চালু করা।
২১.কুআ ফেসবুক গ্রুপে পোষ্ট এপ্রুভাল সহজীকরণ এবং অনলাইন ভিত্তিক যেকোন অভিযোগ সংক্রান্তে দ্রুত রেসপন্স করা।
২২. কুআ সদস্যদের পরিচয়পত্র প্রদানের ব্যবস্থা করা।
এছাড়া তিনি তার সক্ষমতা এবং ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। পাশাপাশি বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমন্বয় ঘটানো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদানের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য তিনি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ফাইন্যান্স কমিটির সভাপতি ও গভর্নিং বডির সদস্য এবং দারুসসালাম হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবে নিয়োজিত আছেন।