খালেদা জিয়া নারীর সব অধিকার বাতিল করেছিলেন : প্রধানমন্ত্রী

0

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের প্রচেষ্টা সবক্ষেত্রে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে আমরা নারী উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পরই সেখানে নারীর যে অধিকারের কথা ছিল সব বাতিল করে দিয়েছিলেন। কারণ, তিনি জামায়াতে ইসলামকে নিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন। ফলে তাদের ২০ দলীয় জোট নারীদের অধিকার বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর আওয়ামী লীগ পুনরায় ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আবারও আমরা নীতিমালা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে নবনির্মিত জয়িতা টাওয়ারের উদ্বোধনের পর গণভবনে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাদের নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ ২২ জন নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। বিএনপি তখন ক্ষমতায়। ব্রিটিশ হাইকমিশনের ওপর গ্রেনেড হামলা করা হলো, আমাদের ছাত্রলীগ নেতা তুষারকে হত্যা করা হলো। সারাদেশে তখন সন্ত্রাসের রাজত্ব। বাংলা ভাই সৃষ্টি, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, বোমা হামলাগুলো এসবের বিরুদ্ধে আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা র‌্যালি করেছিলাম। কিন্তু আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে র‌্যালি করতে গিয়ে আমরাই গ্রেনেড হামলার শিকার হয়েছি।

তিনি বলেন, বিএনপির অত্যাচার-নির্যাতন, অগ্নিসন্ত্রাস… বিশেষ করে আমাদের যুব মহিলা লীগের মেয়েদের ওপর যে অকথ্য অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হয়েছিল তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। গ্রেপ্তার করা, থানায় নিয়ে আটকানোসহ নানানভাবে তাদের (বিএনপির) নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কিন্তু তারপরও এর প্রতিবাদ আমাদের মেয়েরা করে গেছে। যখন রাস্তায় পুরুষরা নামতে পারেনি তখন আমাদের আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগের নারী নেত্রীরাই সাহসের সঙ্গে পথে নেমেছেন। যার ফলেই আমরা আবারও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের নারীরা কেন পিছিয়ে থাকবে। বেগম রোকেয়াই তো প্রথম আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন। নারী শিক্ষার জন্য বেগম রোকেয়ার যে অবদান এবং তিনি স্বপ্ন দেখতেন নারীরা একদিন জজ-ব্যারিস্টার হবেন। আজকে আমাদের নারীরা জজ-ব্যারিস্টার হওয়া থেকে শুরু করে সব জায়গায় তাদের আপন অবস্থান করে নিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.