ওসমান সরদার, প্রতিনিধি জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি)-র আয়োজনে ‘ট্রেন্ডস ইন ইলেক্ট্রনিকস এন্ড হেলথ ইনফরম্যাটিকস’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষ হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি ডিভিশনের সচিব মো. সামসুল আরেফিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি ডিভিশনের সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সুনাম অর্জন করেছে। বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এক্ষেত্রে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান প্রশংসনীয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য-প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে আরও সম্মেলনের আয়োজন করবে এবং এ থেকে লব্ধ জ্ঞান দেশকে এগিয়ে নেবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে টিকে থাকতে তথ্য-প্রযুক্তি সংক্রান্ত জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন সম্মেলনে উপস্থাপিত প্রবন্ধগুলো থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান, ধারনাগুলো দেশের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সমাপনী বক্তব্যে সম্মেলন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান এবং আইআইটির পরিচালক অধ্যাপক ড. এম. শামীম কায়সার প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী এবং অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যানদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইআইটির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ।
উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে দেশি-বিদেশি শিক্ষক, গবেষক এবং শিক্ষার্থীগণ অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় আধুনিক ইলেকট্রনিকস ব্যবহার করে রোগ নির্ণয় ও স্বাস্থ্যসুরক্ষার নানা দিক উঠে আসে। সফটওয়্যার বা অ্যাপ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তা নিয়ে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যসুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসার সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোকপাত করেন বক্তারা।