ওসমান সরদার, জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শাড়ি, চূড়ি ও রকমারি দোকানের পসরা বসিয়েছে ব্যাবসায়ীরা।
এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিদিনই প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াত থাকে ক্যাম্পাসে। এখানে কেউ কেনা-কাটা করতে আসে না। তাই শাড়ী, চূড়ি ও রকমারি দোকান দিয়ে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে অসুবিধা এবং আলাদা জনসমাগমের কোনো প্রয়োজন নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এধরনের কোনো দোকানের অনুমোদন দিবে না।’
বুধবার (২১জুন) সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, ‘ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের চলাচলের রাস্তার দুপাশে শাড়ি ও পোশাকের দোকান বসিয়েছে ব্যাবসায়ীরা। এতে স্বাভাবিক চলাচলের ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের। এসব পোশাকের দাম অতিরিক্ত বেশি। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, ক্যাফেটেরিয়া, বটতলাসহ বিভিন্ন স্থানে এসব দোকান বসেছে।
এদিকে অস্থায়ী দোকানকে ঘিরে কথিত ছাত্র নেতারা চাঁদাবাজি করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানী বলেন, ‘ বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্ররা নিজেদেরকে নেতা দাবি করে আমাদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে। তারা সকালে ও বিকেলে আমাদের প্রত্যক দোকান থেকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা নিয়ে যায়।
দোকান বসানোর কোনো অনুমতি নিয়েছেন কি না। এমন প্রশ্নের জবাবে এক দোকানী বলেন, ‘ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমাদের দোকানের কোনো অনুমতি দেননি। আমরা মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রদের অনুমতি নিয়ে ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গনে দোকান বসিয়েছি।’
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ‘ বৃষ্টির মধ্যে রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী। একই সাথে অস্থায়ী দোকানগুলোর ভীড়ের কারণে আমরা স্বাভাবিক চলাচল করতে পারছি না। তাছাড়া এখানে অভিভাবকদের বসার জন্য কোনো জায়গা নির্ধারণ করা হয়নি, ফলে অভিভাবকদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ‘
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আহমেদ রেজাকে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।