পারিবারিকভাবে ভেষজ উদ্ভিদ রোপণ ও উৎসাহ প্রদানে ‘হারবালজ’

0

ওসমান সরদার, জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা এবং অরুণাপল্লী হাউজিং সোসাইটিতে ৫০টিরও বেশি ভেষজ উদ্ভিদ বিতরণ করেছে হারবালজ। ‘প্রত্যেক বাড়িতে অন্তত একটি ভেষজ উদ্ভিদ থাকবে’ এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া সৌহার্দ্য কুন্ডু ও তাকসিন বাশার জাভিয়ান সহ তাদের কয়েকজন বন্ধু তহবিল সংগ্রহ করে এ কার্যক্রমটি পরিচালনা করছে। ভেষজ উদ্ভিদ রোপণ এবং চাষে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে জনসম্ম সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং সবুজায়নকে উৎসাহিত করছে একদল স্বেচ্ছাসেবকের এ সংগঠনটি।

“সুস্বাস্থ্যের অনুশীলন, প্রকৃতির লালন, বাড়ি সমৃদ্ধকরণ” নীতিকে ধারন করে সেবামূলক হার্বালজ নামে এ সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে। প্রাকৃতিক নিরাময় বৈশিষ্ট্য, টেকসই জীবনযাপন এবং ভেষজ প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতার উপর জোর দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। ইতোমধ্যে, হারবালজ বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদের চারা, যেমন তুলসী, চিরতা, অ্যালোভেরা সহ বিরল প্রজাতির ভেষজ নাগলিঙ্গম গাছ বিতরণ করেছে।

তাদের এই কার্যক্রম সম্পর্কে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবু দায়েন বলেন, অল্প বয়সী কিশোরদের এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। তাদের এই ছোট্ট পরিসরের কার্যক্রম একদিন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। হার্বাল উদ্ভিদ নিয়ে তাদের যে আন্দোলন তাতে অনেকেই সাড়া দিবে।

হার্বালজ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা সোহার্দ্য বলেন, আমরা সবাই একসাথে যা অর্জন করেছি এটি আমাদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে। একটি সাধারণ ভাবনা থেকে শুরু হওয়া বিষয়টি বর্তমানে একটি আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি পরিবারে অন্তত একটি ভেষজ উদ্ভিদকে রোপণ ও পরিচর্যা নিশ্চিত করা, সবুজায়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা, প্রকৃতি সংরক্ষণ এবং ঘরবাড়ি উন্নত করা আমাদের লক্ষ্য। সংশ্লিষ্ট সকলের ত্যাগ এবং অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি জাতিগত শক্তি, সংকল্প এবং ইতিবাচক পরিবর্তন বাড়ি থেকে শুরু হয়। হারবালজ এর ভবিষ্যত কার্যক্রম জাতিগত উন্নয়নে যে গভীর প্রভাব রাখব তা নিয়ে আমরা সত্যি খুব আশাবাদী। আমরা পরিবারগুলোকে স্বাস্থ্যকর, সবুজ এবং আরও প্রাণবন্ত জায়গায় রূপান্তরিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

আপনার মন্তব্য

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.