নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কে আমাদের ভিসা দেবে না, কে স্যাংশন দেবে, সেসব নিয়ে মাথাব্যথা করে লাভ নেই। ২০ ঘণ্টা জার্নি করে, আটলান্টিক পার হয়ে আমেরিকা না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না। পৃথিবীতে আরও অনেক মহাসাগর আছে, অনেক মহাদেশ আছে। আমরা সেসব মহাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব করব।
শনিবার (৩ জুন) বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেন, কিন্তু আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব বলেই এই বাজেট দিয়েছি। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। জনগণের জন্যই কাজ করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির দায়ে আমেরিকা কিন্তু তারেক জিয়াকে ভিসা দেয়নি। তারাই এখন আবার ওদের পেছনে ধর্না দিয়ে বেড়াচ্ছে। জনগণের প্রতি আমার আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে। তারা জানে একমাত্র নৌকায় ভোট দিলে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নত জীবন পেয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের বলব, জনগণের স্বার্থে জনগণের কারণে ত্যাগ স্বীকার করলে জনগণ কিন্তু সেটার মর্যাদা দেয়। এই কথাটা মনে রাখতে হবে। জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি, জাতির পিতাও করে গেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে যে গণতান্ত্রিক ধারা অর্জন করতে পেরেছে সেখানে আওয়ামী লীগসহ আমাদের সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আমরা গণতন্ত্র অর্জন করতে পেরেছি। যার ফলে আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অশুভ শক্তি যেন মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সে দিকে লক্ষ্য রাখা আমাদের দায়িত্ব। এজন্য নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
আ.লীগকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি, পারবেও না
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ওপর বারবার আঘাত, হামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। ইয়াহিয়া খান চেষ্টা করেছে, জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছে, এরশাদ-খালেদা জিয়াও চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগকে কীভাবে ধ্বংস করা যায়? আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠেছে। তাই এই সংগঠনকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি, পারবেও না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু একটি দল নয়, আওয়ামী লীগ ইনস্টিটিউটের মতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এদেশের উন্নতি হয়, এটাই বাস্তব। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়েই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন। আওয়ামী লীগ নামক সংগঠন এদেশের মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রামে সবসময় ভূমিকা পালন করেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের কল্যাণ হয়। মানুষের কল্যাণে সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা যেসব কাজ করি, আওয়ামী লীগ যেসব পরিকল্পনা নেয়, প্রকল্প নেয়, তা সুপরিকল্পিতভাবেই করা হয়। আমাদের মাটি, মানুষ, পরিবেশ, আমাদের দেশের ভৌগলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক অবস্থা, সবকিছু বিবেচনা করেই আমরা প্রকল্প গ্রহণ করি। তার ফলে আমাদের প্রতিটি প্রকল্পই সাফল্য অর্জন করে। মানুষ তার সুফল পায়।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদ, সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণসহ কেন্দ্রীয় ও শাখা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।