জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মেয়াদোত্তীর্ণ সকল পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ গ্রহণে উপাচার্যকে অনুরোধের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিকে আহ্বান জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
রবিবার (১৫ মার্চ) জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ বরাবর প্রেরিত এক চিঠিতে এ আহ্বান জানান জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছান।
চিঠিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা বজায় রাখতে ১৯৭৩-এর অ্যাক্ট, অর্ডিন্যান্স ও সংবিধিকে সমুন্নত রাখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় প্রতিটি গণতান্ত্রিক পর্ষদের (সিনেট, সিন্ডিকেট, শিক্ষা-পর্ষদ, ডীন, অর্থ কমিটি ইত্যাদির) মেয়াদ ৫ বছর আগে ২০১৮ সালে উত্তীর্ণ হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নজরে আসেনি।
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, দীর্ঘদিন বিভিন্ন গণতান্ত্রিক পর্ষদের দায়িত্বে থাকা বর্তমান উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গণতন্ত্রহীনতায় বিচলিত হবেন এবং নিষ্ঠার পরিচয় দিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিবেন। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুসংহত না করে বিভিন্ন বিভাগ, অফিস ও আবাসিক হলে শিক্ষক/ কর্মকর্তা/ কর্মচারী নিয়োগ দেয়ায় ১৯৭৩-এর অ্যাক্ট মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে আমরা মনে করি।
অতএব, মেয়াদোত্তীর্ণ সকল পর্ষদের (সিনেট, সিন্ডিকেট, শিক্ষা-পর্ষদ, ডীন, অর্থ কমিটি ইত্যাদির) নির্বাচন আয়োজন করার জন্য শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে উপাচার্য মহোদয়কে দাবি জানানোর অনুরোধ করছি।
চিঠি প্রদানের বিষয়ে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছান বলেন, ২০১৮ সালের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পর্ষদ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে আছে। বিশ্বাবিদ্যালয় তো অগণতান্ত্রিক ধারায় চলতে পারে না। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিকে অনুরোধ জানিয়েছি তারা যাতে এ বিষয়ে সচেতন হয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ আহমদ বলেন, শিক্ষক সমিতির দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই উপাচার্যের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি । বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ধারা যাতে বজায় থাকে সেজন্য দ্রুততম সময়ে মেয়াদোত্তীর্ণ সকল পর্ষদের নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমরা উপাচার্যকে অনুরোধ জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হতে সিন্ডিকেট সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর ২০১৮ সালের মে মাসে ডীন, এবং জুনে সিন্ডিকেট, শিক্ষা পর্ষদ, অর্থ কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। এছাড়া একই বছরের অক্টোবর মাসে সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধিদের মেয়াদও শেষ হয়। সর্বশেষ ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে মেয়াদ শেষ হয় সিনেটে রেজিস্ট্রার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধিদের।