নিজস্ব প্রতিবেদক: রোববার বিকাল ৩টার দিকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে। মোখার তাণ্ডবে তিন শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত ও ১১ জন আহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ে দ্বীপের মাঝরপাড়া, কোনারপাড়া, গলাচিপা, দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া, উত্তরপাড়ার অন্তত ৩৪০টি ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। কয়েক শ গাছপালা ভেঙে পড়েছে। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে উত্তরপাড়া, পশ্চিমপাড়া ও পূর্ব দিকের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তিনটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৩৭টির বেশি হোটেল রিসোর্ট ও কটেজে অবস্থান করছেন স্থানীয় প্রায় ছয় হাজার মানুষ। বেশির ভাগই শিশু ও নারী।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদু মালেক জানান, দুপুর ১টার পর থেকে বাতাসের তীব্রতা বাড়ে। দুপুর ২টা থেকে রীতিমত সেন্টমার্টিনকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে মোখা। ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা কয়েক ফুট বেড়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিনে মোখার ভয়াবহ আঘাত শুরু হয়েছে। সেন্টমার্টিনে তিন শতাধিক বাড়ি-ঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এছাড়া ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকে মাথায় গাছ পড়ে আহত হন বলে জানা গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন,ঘূর্ণিঝড় মোখা মূল আঘাত হানবে মিয়ানমারের ওপর। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য অনেকটাই ঝুঁকি কেটে গেছে।